ঢাকা,শুক্রবার, ৩ মে ২০২৪

মহাসড়কের লোহাগাড়া অংশে ছোট-বড় অসংখ্য গর্ত ঝুঁকি নিয়ে চলছে যানবাহন

লোহাগাড়া প্রতিনিধি ::  টানা দু’দিনের বর্ষণে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের লোহাগাড়ার ২৫ কিলোমিটার জুড়েই অসংখ্য ছোট-বড় গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। ফলে ঝুঁকি নিয়ে যানবাহন চলাচল করছে। বৃষ্টি হলেই সড়কে পানি জমার কারণে একাধিক স্থানে ছোট-বড় গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। এতে সড়কের পাশ দিয়ে চলাচল করতে গিয়ে যানবাহনের চাকা থেকে ছিটকে কাঁদাযুক্ত পানিতে জামাকাপড় নষ্ট হচ্ছে পথচারীর।

পর্যটন নগরী কক্সবাজারে প্রতিদিন দেশ-বিদেশের হাজারো পর্যটকের আগমন হওয়ায় এ মহাসড়কটি গুরুত্বপূর্ণ হলেও বছরের বেশি ভাগ সময়েই দেখা যায় সড়কের বেহাল দশা। বছরে একাধিক স্থানে নামমাত্র সংস্কার হলেও নিম্নমানের কাজ হওয়ায় বেশি দিন টেকে না সড়কটি এমন অভিযোগ এলাকাবাসীর।
বর্তমানে মহাসড়কের লোহাগাড়ার ঠাকুরদীঘি, পদুয়া, রাজঘাটা, পুরান বিওসি, বটতলী মোটর স্টেশন, আধুনগর খান হাট, চুনতি ডেপুটি বাজার, চুনতি ফরেস্ট অফিসসহ বিভিন্ন এলাকায় অসংখ্য গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। যাত্রী, পথচারী, যানবাহনের চালকরা গুরুত্বপূর্ণ এ মহাসড়কটিতে চরম হতাশা ও উদ্বেগের মধ্য দিয়ে চলাচল করছেন। সড়কে খানাখন্দে ভরে যাওয়ায় প্রতিদিন সড়ক দুর্ঘটনায় পতিত হচ্ছে যানবাহনগুলো।

লোহাগাড়া সদরের ব্যবসায়ী আলমগীর হোসেন জানান, মহাসড়কে এতগুলো গর্ত, একটু বৃষ্টি হলেই অবর্ণনীয় দুর্ভোগ পোহাতে হয়। ধূলাবালি আর কাদাপানিতে জামাকাপড় নষ্ট হয়ে যায় ও গর্তে পড়ে গাড়িও নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। পদুয়ার খানে আলম জানান, প্রতিবছর চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের একাধিক স্থান সংস্কারের নামে সরকারের যে বিপুল পরিমাণ টাকা ব্যয় হচ্ছে তার সুফল জনগণ ভোগ করছে কি না কর্তৃপক্ষের তা জানা দরকার।
বাস চালক আমির হোসেন জানান, বৃষ্টি হলেই মহাসড়কে ছোট-বড় অনেক গর্ত সৃষ্টি হয়ে যায়। বৃষ্টির পানি জমে থাকলে গর্তগুলো বুঝা যায় না।

ফলে যানবাহন চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এছাড়াও গর্তে পড়ে যানবাহনের অনেক যন্ত্রাংশের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে।
এ ব্যাপারে দোহাজারী সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী জাহিদ হোসেন জানান, মহাসড়কে গর্ত সৃষ্টি হওয়ার ব্যাপারে তিনি অবগত আছেন। বৃষ্টি থামলে গর্তগুলো সংস্কার করা হবে বলে জানান তিনি।

x

পাঠকের মতামত: